প্রশ্ন: বেবীর বয়স ছয়মাস হওয়ার পূর্বেই রমজান চলে আসলে এবং মায়ের রোযা পালনের কারনে বাচ্চা যদি ঠিকমত দুধ খেতে না পায় তখন কাউকে টাকা দিয়ে যদি রোজা করে নেওয়া হয়, পরবর্তীতে কী তবুও কাযা রোজা গুলো করতে হবে? দলীল সহ উত্তর দিবেন আশা রাখি
উত্তর : জ্বী, পরবর্তীতে কাজা রোজাগুলো করতে হবে। কুরআন বলছে,
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে সে অন্যদিনগুলোতে এ সংখ্যা পূর্ণ করবে” [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫]
==============================================
যদি গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের রোজা রাখার দ্বারা তার স্বাস্থ্যের উপর কোন প্রভাব না পড়া। অর্থাৎ তার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য রোজা রাখাটা ক্ষতিকরর না হয় । এবং তার সন্তানের জন্যেও আশংকাজনক না হয়। এমন নারীর উপর রোজা রাখা ফরজ। তার জন্য রোজা ভাঙ্গা নাজায়েয।
আর যদি গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়ের রোজা রাখলে তার নিজের স্বাস্থ্য অথবা সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশংকা হয় এবং তার জন্যে রোজা রাখাটা কষ্টকর হয়। এমন নারীর জন রোজা না-রাখা জায়েয আছে ; এ নারী রোজাগুলো পরবর্তীতে কাজা পালন করবেন। বরং এমন অবস্থায় নারীর জন্য রোজা না-রাখাই উত্তম। রোজা রাখা মাকরূহ।
দলিল হচ্ছে, আল্লাহর বাণী: “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে সে অন্যদিনগুলোতে এ সংখ্যা পূর্ণ করবে” [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫] আর এ দুই শ্রেণীর অর্ন্তভূক্ত হবে গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী। অর্থাৎ তাদের নিজের ও সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশংকা হয় ; তাহরে রোজা ভাঙ্গার অনুমতি আছে।
রাসূল সা : বলেন , “আল্লাহ তায়ালা মুসাফিরদের জন্য রোজা রাখতে বারণ করেছেন এবং নামাজের অংশ বিশেষ ছাড় দিয়েছেন, আর গর্ভবর্তী ও স্তন্যদানকারীর জন্য রোজা পালনের বাধ্য বাধকতা শিথিল করেছেন। ” তবে পরবর্তীতে ছুটে যাওয়া এ রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে হবে ( তিরমিজি শরিফ )।
No comments:
Post a Comment