কুফুরী গণতন্ত্র বনাম ইসলামী গণতন্ত্রঃ
## কুফুরী গণতন্ত্রঃ
ইসলামী শরীয়া আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত শিরক-কুফরীপূর্ণ গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র-সেক্যুলারিজম-জাতীয়তাবাদী ধর্ম কেনো শিরক ও কুফরী?
কয়েকটি উদাহরণ দিলামঃ
১) মহান আল্লাহতায়ালা কোরআনে আদেশ করেছেন সন্তান বালেগ (বয়ঃসন্ধিকাল) হলে বিয়ে দিতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেরা বালেগ হয় সাধারণত কমবেশি ১৩ বছর বয়সে এবং মেয়েরা বালেগা হয় সাধারণত কমবেশি ১০ বছর বয়সে। সূত্রঃ (সূরা আন-নূর, আয়াত ৩২) এবং শরীয়া আইনে ব্যভিচারের শাস্তির বয়সকাল শুরু।
* গণতন্ত্র ধর্ম মহান আল্লাহতালার আইনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তবে এই কাফের গণতন্ত্র ধর্ম বাল্যপ্রেম নামক ব্যভিচারকে উৎসাহিত করে যা মহান আল্লাহতায়ালা হারাম ঘোষণা করেছেন।
২) মহান আল্লাহতায়ালা ব্যভিচারকে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং পুরুষের বহুবিবাহকে অনুমোদন দিয়েছেন।
* গণতন্ত্র ধর্ম পুরুষের বহুবিবাহকে বাধা দেয়ার জন্য নানারকম আইনকানুন ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।
৩) মহান আল্লাহতায়ালা নারীদের পর্দা ফরজ ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহতায়ালা নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
* গণতন্ত্র ধর্ম নারীদের পর্দাকে ঐচ্ছিক বলে ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহতায়ালার বিধানের উপর হস্তক্ষেপ করে শিরক করেছে। গণতন্ত্র ধর্মের অনুসারীরা নারী-পুরুষের ফ্রি মিক্সিংকে পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিয়মিতভাবে অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে।
৪) মহান আল্লাহ তা'আলা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হারাম ঘোষণা করেছেন এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অধিক সংখ্যক সন্তান গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছেন।
* গণতন্ত্র ধর্ম জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজ সন্তান হত্যা করার মতো মারাত্মক কবীরা গুনাহ ও নিকৃষ্টতম কাজ করার জন্য উৎসাহিত করে।
৫) মহান আল্লাহতায়ালা ব্যভিচার ও পতিতাবৃত্তিকে হারাম ঘোষণা করে তা বন্ধ করার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ করেছেন।
* গণতন্ত্র ধর্ম মহান আল্লাহতায়ালার বিধানের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করে ব্যভিচার ও পতিতাবৃত্তি চালানোর জন্য লাইসেন্স প্রদান করে মহান আল্লাহতায়ালার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
৬) মহান আল্লাহতায়ালা মদ, সুদ, জুয়াকে হারাম ঘোষণা করে এই সকল ব্যবসা ও ভোগ হারাম ঘোষণা করে তা ধ্বংস করার আদেশ করেছেন।
* গণতন্ত্র ধর্ম মহান আল্লাহতায়ালার বিধানের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করে মদ, সুদ ও জুয়ার ব্যবসা চালানোর জন্য লাইসেন্স প্রদান করে মহান আল্লাহতায়ালার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
*** উপরোক্ত ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আইন প্রণয়ন ও লাইসেন্স প্রদান করার মাধ্যমে গণতন্ত্র ধর্মের অনুসারীরা (ভোটপ্রার্থী, ভোটদাতা, সমর্থক ও সহযোগী) শিরক-কুফরী করে মুশরিক-কাফের হয়ে গেছে। এদের মধ্যে আলেম নামধারী মুনাফিকরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এরা ইসলামের জন্য বেশী ক্ষতিকর। এই সকল মুশরিক, কাফের ও মুনাফিকরা বিনা তওবায় মৃত্যুবরণ করলে নিশ্চিতভাবেই চিরকালের জন্য জাহান্নামে চলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহতায়ালা কুরআনে বলেই দিয়েছেন যে, চোরের হাত কাটতে হবে। এই আইন চালু করলে এতগুলো পুকুর চুরি, সাগর চুরি, চাল চুরির ঘটনা দেখতে হতো না।
গণতন্ত্র ধর্মের অনুসারী মুসলিম নামধারী মুশরিক-কাফেরগুলো শরীয়া আইন কায়েম করতে কেন অস্বীকার করে এটাতো সহজেই অনুমেয়।
মহান আল্লাহতায়ালা এই কারণেই কাফের ঘোষণা দিয়েছেন।
দলিলঃ ({৫} সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত-৪৪ এর শেষ লাইন)।
... আর যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না তারাই কাফের।
(AY Zobayer)
## ইসলামি গণতন্ত্রঃ
আলহামদুলিল্লাহ।
আপনার তথাকথিত গণতন্ত্র আর ইসলামী গণতন্ত্র এক নয়। আপনি যেগুলো বলেছেন তা ১০০% সঠিক।
কিন্তু আপনার জানা দরকার (অথবা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই) কুরআনের আয়াত "ওয়া সায়িউরহুম ফিল আমরি" (আলে ইমরানঃ ১৫৯) - আদেশ গুলো নিয়ে তাদের সাথে পরামর্শ করো - এই আয়াতটা হলো ইসলামী গণতন্ত্রের ভিত্তি। যেমন নামাজ ক্বায়েম কর - এখন নামাজ কী কী ওয়েতে ক্বায়েম করবেন তার অপশন গুলো নিয়ে পরামর্শ হবে। জিহাদ কর - জিহাদ কখন কার বিরুদ্ধে পরিচালনা করবেন, সৈন্য সংখ্যা বা কোন দিক থেকে আক্রমণ করবেন এগুলো নিয়ে পরামর্শ হবে। নিজেদের নেতা নির্বাচন করো - এখন আপনাদের মধ্যে কাকে নেতা বানাবেন তা নিয়ে পরামর্শ বা ভোটাভুটি হতে পারে।
মূল কথা ইসলামের আদেশ নিষেধ গুলো বাস্তবায়ন নিয়ে মতামত গ্রহণের জন্য শূরা সিস্টেম ফরজ। এটাই ইসলামী গণতন্ত্র।
এ ব্যাপারে আমার টাইমলাইন বা অন্যান্য লেখায় পেতে পারেন। বা আমার এ্যাপে প্রশ্নোত্তর পর্বে পেতে পারেন।
তাই " গণতন্ত্র হারাম" কিন্তু "ইসলামি গণতন্ত্র" (শূরা / শায়িউর) ফরজ।
এটা বুঝানোর জন্য একটা পরিভাষা ব্যবহার করা মাত্র।
(নুর হোসেন)
৩: আলে-ইমরান,:আয়াত: ১৫৯,
فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ اللّٰهِ لِنْتَ لَهُمْ١ۚ وَ لَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِیْظَ الْقَلْبِ لَا نْفَضُّوْا مِنْ حَوْلِكَ١۪ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَ اسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَ شَاوِرْهُمْ فِی الْاَمْرِ١ۚ فَاِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى اللّٰهِ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الْمُتَوَكِّلِیْنَ
(হে নবী!) এটা আল্লাহর বড়ই অনুগ্রহ যে, তোমার ব্যবহার তাদের প্রতি বড়ই কোমল। নয়তো যদি তুমি রুক্ষ স্বভাবের বা কঠোর চিত্ত হতে, তাহলে তারা সবাই তোমার চার পাশ থেকে সরে যেতো। তাদের ত্রুটি ক্ষমা করে দাও। তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করো এবং দ্বীনের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করো। তারপর যখন কোন মতের ভিত্তিতে তোমার স্থির সংকল্প হবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো। আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন যারা তাঁর ওপর ভরসা করে কাজ করে।
No comments:
Post a Comment