রাসূল সা: এর জামা, লুঙ্গী ও চাদরের বর্ণনা
রাসূল সা: সাধারণত লুঙ্গী পরিধান করতেন। উসওয়ায়ে কিতাবে এসেছে, অধিকাংশ সময় রাসূল সা. এর পরনে লুঙ্গী ও চাদর থাকত। যা খুব শক্ত ও মোটা হত। মাদারিজুন নবুওয়ত গ্রন্থে আছে যে, রাসূল সা. ময়লা ও দুর্গন্ধ যুক্ত বস্ত্র অপছন্দ করতেন।
রঙের ক্ষেত্রে রাসূল সা: সাদা রঙের পোশাক পছন্দ করতেন। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুন রা. বর্ণনা করেন, নবী আকরাম সা. বলেছেন, সাদা বস্ত্র পরিধান কর, কেননা এটা অত্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। আর এর দ্বারাই (সাদা কাপড়) তোমরা মৃত ব্যক্তিদের দাফন কর।
অপরদিকে, যাদুল মা’আদে আছে, তিনি ইয়ামানী চাদর, জোব্বা, আলখাল্লা, জামা, লুঙ্গী ইত্যাদি সব বস্ত্র ব্যবহার করতেন। তিনি রেখা পাইর-যুক্ত কালো বস্ত্র এবং সাদা বস্ত্র পরিধান করেছেন।
পোশাকের সাইজ
পোশাকের বর্ণনা করতে গিয়ে, কবি মুযতার উল্লেখ করেন,
অধিক সময় পরতেন তিনি সাদা, মোটা আরাম হীন কাপড়, লম্বা খাটো খুব বেশী নয়, গোড়ালি হতে একটু উপর। কালো কম্বল জড়াতেন কভু পবিত্র দেহের উপর| রাসুল (সা.)-এর জামা মোবারক মোল্লা আলী বারী রহঃ দিময়াতী রহঃ হতে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীর সা. জামা সুতি কাপড়ের বানানো ছিল, যা খুব লম্বা ছিল না এবং এর আস্তিনও ছিল না। এমনিভাবে মুনাবী রহঃ ইবনে আববাস রাযি. হতে বর্ণনা করেন, তার জামা টাখনুর একটু উপরে থাকত।
খোসায়েলে নববী ৪৯ পৃষ্ঠা
শামায়েলে তিরমিযীতে জামার হাতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। হযরত আসমা রা. বলেন, রাসূলের সা. জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত হত। এছাড়াও আলখাল্লার হাতা কব্জির আগ পর্যন্ত বানিয়েছিলেন| এটা এ কথা বুঝানোর জন্য কব্জির আগ পর্যন্ত হাতা বানিয়েছেন। অন্যথায় উত্তম ও সুন্নত হল হাতা কি পর্যন্ত হওয়া। তবে, এর একটু আগ পর্যন্ত হওয়াটাও জায়েজ। কিন্তু হাতা লম্বার পরিমাণ আঙ্গুল অতিক্রম করা চাই।
জামার লম্বার ব্যাপারে আল্লামা শামী রহ. লিখেন, জামা পায়ের নলীর অর্ধেক পর্যন্ত হওয়া চাই; এর, বেশী নয়| এটাই উত্তম। তাছাড়া টাখনু পর্যন্তও জায়েজ; কিন্তু অনুচিত| নবী কারীম সা. জামার হাতা খুব চিপাও রাখতেন না আবার খুব টিলাও রাখতেন না, বরং মাঝামাঝি ধরনের রাখতেন এবং জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত লম্বা হত| আলখাল্লার হাতার চেয়েও বর্ধিত হত| তবে আঙ্গুল অতিক্রম করত না।
উসওয়ায়ে রাসূ্ল সা. ১২২ পৃষ্ঠা
রাসূল (সা.)-এর চাদর মোবারকের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ
রাসূল (সা.)-এর চাদর মোবারক চার হাত লম্বা ও আড়াই হাত প্রশস্ত ছিল। অন্য এক বর্ণনা মতে ছয় হাত লম্বা ও সাড়ে তিন হাত প্রশস্ত ছিল।
খাসায়েলে নববী ৯৫ পৃষ্ঠা
নবীজি সা. কালো কম্বলও গায়ে জড়াতেন| হযরত আয়েশা রাযি. বর্ণনা করেন, একদা তিনি সকাল সকাল বাইরে গমন করলেন, তখন তার গায়ে কালো পশমের একটি চাদর ছিল।
মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা
রাসূল (সা.)-এর টুপি মোবারক
তিনি সাদা রঙ্গের টুপি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সফর ও নিজ বাড়ীতে অবস্থানকালে টুপির ধরন ভিন্ন হত। তিনি যখন বাড়ীতে অবস্থান করতেন, তখন মাথায় চেষ্টা ধরনের টুপি ব্যবহার করতেন|
উসওয়ায়ে রাসূল (সা.) ১২৪ পৃষ্ঠা, সীরাজুম মুনির নববী লায়ল ও নাহার ১১১ পৃষ্ঠা
রাসূল (সা.)-এর পাগড়ী মোবারক
রাসূল (সা.) অধিকাংশ সময় পাগড়ী ব্যবহার করতেন আর বলতেন, “পাগড়ী ব্যবহার কর, এর দ্বারা ভদ্রতা বাড়ে”। কখনো যদি পাগড়ী না হত, তখন শির ও ললাটের মাঝে একটি পট্টি হলেও বেঁধে নিতেন।
নবীজির পাগড়ী মোবারকের রঙ
হযরত আমর ইবনে হারিস রাযি. বলেন, এ দৃশ্যটা যেন এখনো আমার চোখের সামনে ভাসমান, যখন নবীজি (সা.) মিম্বরে খুতবা প্রদান করছিলেন এবং কালো রঙ্গের একটি পাগড়ী রাসূল (সা.)-এর (শির) মাথায় বাধা ছিল।
মুসলিম, নাসায়ী
হযরত জাবের রাযি. বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন যখন তিনি মক্কা শরীফে প্রবেশ করলেন, তখন তার মাথায় কালো রংয়ের পাগড়ী ছিল।
রাসূল সা. এর শামলা প্রায় অর্ধ হাত লম্বা রাখতেন| অধিকাংশ সময় শামলা ছেড়ে পাগড়ী বাধতেন এবং শামলাকে উভয় স্কন্ধের মাঝামাঝি পেছনের দিকে ছেড়ে রাখতেন|
খাসায়েলে নববী, নববী লায়ল ও নাহার, ৪১১ পৃষ্ঠা
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. বলেন, রাসূল সা. যখন পাগড়ী বাঁধতেন, তখন শামলাকে উভয় স্কন্ধের মাঝারি পেছনে ঢেলে দিতেন । পাগড়ী মোবারক প্রায় সাত গজ লম্বা ছিল।
খাসায়েলে নববী, নববী লায়ল ও নাহার
রাসূল সা.-এর মাথা মোবারকে কাপড় রাখার আলোচনা
হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, তিনি প্রায়ই মাথায় কাপড় রাখতেন| তার এই কাপড়খানা অধিক তৈল লাগার কারণে তৈলযুক্ত কাপড় বলেই মনে হত|
এই কাপড়টা পাগড়ীর নিচে রাখতেন, যাতে তৈলের দরুন পাগড়ী নষ্ট না হয়ে যায়। কিন্তু তথাপি এই কাপড়টি ময়লা হত না ।
মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) লিখেন, তার কাপড়ে উকুন পড়ত না কখনো । কখনো উরুশ তার রক্ত চুষতে পারত না । আল্লামা রাযী (রহঃ) বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি (সা.)-এর দেহ মোবারকে কখনো মাছি বসে নাই।
খাসায়েলে নববী ১০০ পৃষ্ঠা
প্রিয় নবীজি (সা.)-এর চামড়ার মোজা মোবারক
প্রিয় নবীজি (সা.) চামড়ার মোজা পরিধান করতেন এবং এগুলির উপর মাসাহ করতেন| হযরত বুরাইদা (রাযি.) বলেন, হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশী প্রিয় নবীজি (সা.)কে কালো রঙ্গের দু’টি পরিস্কার মোজা উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। রাসূল (সা.) এগুলি ব্যবহার করেছেন এবং ওযুর পর এগুলির উপর মাসাহ করেছেন।
হযরত মুগীরা ইবনে শোবা রাযি. বলেন, দাহিয়া কীলবী (রাযি.) রাসূল (সা.)কে দু’টি মোজা উপহার দিয়েছিলেন। নবীজি (সা.) এগুলি ব্যবহার করতে করতে শেষ পর্যস্ত ফেটে গিয়েছিল।
পরিশেষে
এই ছিল আজকে রাসূল সা: এর রাসূল সা: এর পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রাসূল সা:কে অনুসরণ করার তৌফিক দান করুক। আমীন। আরও জানতে জেনে নিন, কেমন ছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশভূষা ও সাজ-সজ্জা।
পরিচ্ছেদঃ
পোশাক পরিধান করা কোন ক্ষেত্রে ফরয, কোন ক্ষেত্রে হারাম, কোন ক্ষেত্রে মুস্তাহাব, আবার কোন ক্ষেত্রে মুবাহ। ফরয পোশাক হলো এতটুকু পরিধান করা, যা দ্বারা সতর আবৃত করা যায়। মুস্তাহাব হলো যার ব্যাপারে শরীয়ত উৎসাহ দান করেছে। যেমন- দু’ঈদে উত্তম পোশাক পরিধান করা। মাকরূহ ঐ পোশাক, যা পরিধান করতে উৎসাহিত করা হয়নি। যেমন- ধনীদের সর্বদা ছিন্ন ও পুরাতন কাপড় পরিধান করা। হারাম ঐ পোশাক, যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। যেমন- পুরুষের জন্য ওজর ব্যতীত রেশমী কাপড় পরিধান করা ইত্যাদি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় পোষাক ছিল কামীস:
৪৪. উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পোষাক হিসেবে ‘কামীস’ বা জামা সর্বাধিক পছন্দ করতেন।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى ، وَأَبُو تُمَيْلَةَ ، وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ ، عَنْ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ بْنِ خَالِدٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ، قَالَتْ : " كَانَ أَحَبَّ الثِّيَابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَمِيصُ " .
পরিচ্ছেদঃ
৪৫. মু’আবিয়া ইবনে কুররা (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মুযায়না গোত্রের একদল লোকের সাথে বায়’আত গ্রহণ করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হলাম। এ সময় তাঁর জামার বোতাম খোলা ছিল। আমি তখন (বরকত লাভ করার জন্য) জামার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মোহরে নবুওয়াত স্পর্শ করলাম।[1]
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُشَيْرٍ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنْ مُزَيْنَةَ لِنُبَايِعَهُ ، " وَإِنَّ قَمِيصَهُ لَمُطْلَقٌ ، أَوْ قَالَ : زِرُّ قَمِيصِهِ مُطْلَقٌ قَالَ : فَأَدْخَلْتُ يَدِي فِي جَيْبِ قَمِيصِهِ , فَمَسَسْتُ الْخَاتَمَ " .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি ইয়ামেনী নকশী কাপড়ও পরিধান করতেন:
৪৬. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ)-এর কাঁধে ভর করে বাইরে বের হলেন। এ সময় তাঁর দেহে পরা ছিল একটি ইয়ামেনী নকশী কাপড়। তারপর তিনি লোকদের নামাযের ইমামতি করেন।[1]
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ الشَّهِيدِ ، عَنِ الْحَسَنِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ وَهُوَ يَتَّكِئُ عَلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَلَيْهِ ثَوْبٌ قِطْرِيٌّ " , قَدْ تَوَشَّحَ بِهِ ، فَصَلَّى بِهِمْ .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি নতুন কাপড় পরিধানকালে কাপড়ের নাম উচ্চারণ পূর্বক দু’আ পাঠ করতেন :
৪৭. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন কাপড় পরিধান করতেন তখন কাপড়ের নাম পাগড়ি অথবা কামীস অথবা চাদর ইত্যাদি উচ্চারণ করতেন। তারপর তিনি এ দুআ পরতেনঃ
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا كَسَوْتَنِيهِ ، أَسْأَلُكَ خَيْرَهُ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهُ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। যেহেতু তুমিই আমাকে তা পরিধান করিয়েছ। আমি তোমার কাছে এর কল্যাণ প্রার্থনা করছি, আরো কল্যাণ চাচ্ছি যে উদ্দেশে এটা তৈরি করা হয়েছে তাঁর। আর আমি তোমার স্মরণাপন্ন হচ্ছি এর যাবতীয় অনিষ্ট হতে এবং যে উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে তাঁর অনিষ্ট হতে।[1]
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيِّ ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِذَا اسْتَجَدَّ ثَوْبًا سَمَّاهُ بِاسْمِهِ عِمَامَةً أَوْ قَمِيصًا أَوْ رِدَاءً ، ثُمَّ يَقُولُ : " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا كَسَوْتَنِيهِ ، أَسْأَلُكَ خَيْرَهُ وَخَيْرَ مَا صُنِعَ لَهُ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ " .
পরিচ্ছেদঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি প্রিয় পোষাক ছিল হিবারা :
৪৮. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কাপড় হলো (ইয়ামানে তৈরি চাদর) হিবারা।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ أَحَبَّ الثِّيَابِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَلْبَسُهُ الْحِبَرَةُ " .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি লাল রঙ্গের নকশী করা চাদরও পরিধান করতেন:
৪৯. আবু জুহাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লাল নকশী চাদর পরা অবস্থায় দেখেছি। আজও যেন আমি তাঁর উভয় গোড়ালীর ঔজ্জ্বল্য প্রত্যক্ষ করছি।[1]
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : " رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ , كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَرِيقِ سَاقَيْهِ " .
পরিচ্ছেদঃ
৫০. বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘লাল হুল্লা’ পরিহিত কাউকে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেয়ে অধিক সুদর্শন দেখিনি। আর তাঁর কেশ (জুম্মা) উভয় কাঁধ স্পর্শ করছিল।[1]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ ، عَنْ إِسْرَائِيلَ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ، قَالَ : " مَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ , مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، إِنْ كَانَتْ جُمَّتُهُ لَتَضْرِبُ قَرِيبًا مِنْ مَنْكِبَيْهِ " .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি সবুজ চাদরও পরিধান করতেন:
৫১. আবু রিমছা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দুটি সবুজ চাদর পরিহিত অবস্থায় দেখেছি।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ إِيَادٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِي رِمْثَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَلَيْهِ بُرْدَانِ أَخْضَرَانِ " .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি সাহাবীদেরকে সাদা রঙের কাপড় পরিধান করতে উপদেশ দিয়েছেন:
৫২. ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাদা রঙের কাপড় পরিধান করবে। তোমাদের জীবিতরা যেন সাদা কাপড় পরিধান করে এবং মৃতদেরকে সাদা কাপড় দিয়ে দাফন দেয়। কেননা, সাদা কাপড় তোমাদের সর্বোত্তম পোশাক।[1]
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " عَلَيْكُمْ بِالْبَيَاضِ مِنَ الثِّيَابِ , لِيَلْبَسْهَا أَحْيَاؤُكُمْ ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ ، فَإِنَّهَا مِنْ خِيَارِ ثِيَابِكُمْ " .
পরিচ্ছেদঃ
৫৩. সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করো। কারণ, তা সর্বাধিক পবিত্র ও উত্তম। আর তা দিয়েই তোমরা মৃতদের কাফন দাও।[1]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " الْبَسُوا الْبَيَاضَ , فَإِنَّهَا أَطْهَرُ وَأَطْيَبُ ، وَكَفِّنُوا فِيهَا مَوْتَاكُمْ " .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি কালো রঙের পশমী চাদরও পরিধান করতেন:
৫৪. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যুষে বাইরে বের হন। তখন তাঁর দেহে কালো পশমের একটি চাদর শোভা পাচ্ছিল।[1]
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبِي ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ : " خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ غَدَاةٍ , وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مِنْ شَعَرٍ أَسْودَ " .
পরিচ্ছেদঃ
তিনি আঁটসাঁট আস্তিন বিশিষ্ট রুমী জুব্বা পরিধান করেছিলেন:
৫৫. মুগীরা ইবনে শু’বা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঁটসাঁট আস্তিন বিশিষ্ট একটি রুমী জুব্বা পরিধান করেন।[1]
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ الشَّعْبِيِّ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , " لَبِسَ جُبَّةً رُومِيَّةً , ضَيِّقَةَ الْكُمَّيْنِ " .
No comments:
Post a Comment