প্রশ্ন-বিস্তারিত: ছালাম নিবেন আশা করি ভালো আছেন। কোরআন শিক্ষা করে কতটুকু পরিমান টাকা নেওয়া যাবে।দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : ওয়া আলাইকুম আস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মূলত: সুরা ইয়াসীন এর ২১ নং আয়াত সহ আরো কিছু আয়াত এবং হাদীস এবং ইমামগণের মতামত অনুযায়ী শুধু কুরআন শিক্ষা নয়, দ্বীনের কোন খিদমত করেই টাকা নেওয়া যাবে না। আপনি কুরআন ও দ্বীন শিখেছেন ইহকালীন ও পরাকালীন কল্যাণের জন্য এবং এই শিক্ষার হক্ব ও শুকরিয়া আদায় করবেন অন্যকে শিক্ষা দিয়ে (সুরা দুহা, আয়াত ১০ ও ১১ ) । এখন যে ব্যাক্তি এরূপ খিদমতে আত্মনিয়োগ করবে সর্বতোভাবে এবং এরূপ একদল লোকেরও সমাজে প্রয়োজন আছে, তাদের ব্যয়ভার রাষ্ট্রিয় বাইতুল মাল থেকে বহন করতে হবে, সমাজের কল্যাণে ও দ্বীন প্রচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে। কিন্তু যেহেতু এই মুহুর্তে সেই ব্যবস্থা নাই। তাই জীবন পরিচালনার জন্য ন্যুনতম অর্থ গ্রহণ করার অনুমতি আলেমগণ দিয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটা অনুমতি। কিন্তু এটাই নিয়ম, বা বাধ্যতামূলক, তা কিন্তু নয়। আলহামদুলিল্লাহ, এর পরেও যদি কেউ উপার্জনের সাধারণ পন্থা (ব্যবসা/চাকুরী/কৃষি) ইত্যাদি অবলম্বন করে এবং কুরআন শিক্ষা বা দ্বীন শিক্ষা বা ওয়াজ নছিহত এর ক্ষেত্রে কোনরূপ বিনিময় গ্রহণ করেনা, সে তো সোনায় সোহাগা। তার এরূপ নি:স্বার্থ খিদমত দ্বারা আসলেই সমাজে এই দাওয়াতের ও শিক্ষার প্রভাব পড়বে, সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত হবে এবং পরকালেও সে প্রভূত কল্যাণের অধিকারী হবে, ইনশাআল্লাহ। দ্বীনের এরূপ দায়ীদের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তার নিজের কাছে যে “উজর” রেখেছেন তা তাকে দুনিয়ায় ও আখিরাতে কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে মহান আল্লাহ তাকে দান করবেন বলে আশা করা যায়, ইনশাআল্লাহ। ওয়াল্লাহু আ’লামু বিচ্ছাওয়াব।
No comments:
Post a Comment