উত্তর :
নারীর প্রতিষ্ঠা বলতে নারী নেতৃত্ব, ক্ষমতা বা তারা বাইরে গিয়ে কাজ করে নিজেদের ভরণ পোষণ করবে - এটা নয়। বরং, নারীর প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, তারা তাদের যথাযথ অধিকার পাবে, মায়ের কথা শোনা এবং তাদের সেবা প্রয়োজনীয় বিষয় সরবরাহ করা সন্তানদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাবাদের জন্যও একই নিয়ম, তবে মায়ের জন্য তিনগুণ বেশী গুরুত্ব। এছাড়াও প্রত্যেক স্বামীর উপর বাধ্যতামূলক, তার স্ত্রীর ভরণ পোষণ করা। প্রত্যেক পিতার উপর বাধ্যতামূলক - তার কন্যাকে যথাযথ ভরণ - পোষণ ও পর্দার মধ্যে রেখে এরপর তার বিয়ের ব্যবস্থা করবে।
অর্থাৎ, প্রতিটি ক্ষেত্রেই একজন মেয়ের দায়িত্ব, হয় তার পিতার উপর, অথবা বড় ভাইয়ের উপর, অথবা, স্বামীর উপর, অথবা, ছেলের উপর, অথবা, যথাযথ ভাবে অভিভাবকের উপর বাধ্যতামূলক ।
একজন নারীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সে অন্য সংসারে চলে যায়, তখন তার বাবা মাকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করার কোন দায়িত্ব তার উপরে থাকেনা, অথচ, তারপরেও সে পিতা মাতার মৃত্যুর পর তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অংশীদার হয়, একজন ভাইয়ের অর্ধেক পরিমাণ সম্পত্তি সে পায়।
বিয়ে হওয়ার পর সংসারের কোন খরচ তার নাই, কোন রকম আর্থিক দায় দায়িত্বও তার উপরে নাই, কিন্তু তারপরেও, এ বিয়ে হওয়ার জন্য তার স্বামীকে তাকে একটা মোহরানা দিতে হয়।
এভাবে একজন নারীর উপর কোনো ধরণের সামাজিক বা আর্থিক দায়িত্ব পালন করার কোন বাধ্য বাধকতা তার নেই, বরং, উল্টো তার যাবতীয় দায় দায়িত্ব, ভরণ পোষণ, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরও, তাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার দায়িত্বও বাধ্যতামূলক ভাবে পুরুষকেই দেওয়া হয়েছে, বরং, মোহরানা, স্বামীর পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অংশ পাওয়া, পিতার সম্পত্তির অংশ পাওয়ার পরও বিনিময়ে তার কোন রকম আর্থিক দায় দায়িত্ব ইসলাম তার জন্য আরোপ করেনি। তার নিজের সম্পত্তি খরচ করার ব্যাপারে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন। অথচ, এ বিষয়টি একজন পুরুষের জন্য চিন্তাই করা যায়না।
আবার অন্যদিকে, নৈতিক দিক থেকে বলা হয়েছে, নারীর পায়ের নিচে তার সন্তানের বেহেশত, আর একজন পুরুষের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সেই ব্যাক্তি ভালো যার ব্যাপারে তার স্ত্রী সাক্ষ্য দিবে যে, সে ভালো।
অতএব, সামাজিক, আর্থিক, নৈতিক, সম্মান ও মর্যাদার ক্ষেত্রে ইসলাম নারীকে যা দিয়েছে, এর চেয়ে বেশী কিছু কল্পনাতীত এবং অন্য কোন ধর্ম, বিধান বা মতবাদে এমনটি আর কোথাও দেওয়া হয়নি। সম্ভবও নয়।
No comments:
Post a Comment