হযরত রাসুল পাক (সঃ)-এর সন্তান সন্তুতি ....................
রাহ্মাতাল্লিল আলামীন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তিন পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন । তাঁর পুত্রগণ ছিলেন-
১। হযরত কাশেম (রাঃ),
২। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) ওরফে তাহের (রাঃ) ওরফে তৌয়ব (রাঃ) এবং
৩। হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) ।
আর কন্যাগণ ছিলেন-
১। হযরত জয়নাব (রাঃ),
২। হযরত রোকেয়া (রাঃ),
৩। হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং
৪। হযরত ফাতেমা (রাঃ) ।
হযরত রাসুল (সঃ)-এর পুত্রগণ শৈশবেই ইন্তেকাল করেন । ফলে তাঁদের সম্বন্ধে খুব বেশি তথ্য জানা যায়নি । তাছাড়া তাঁদের সংখ্যা নিয়েও মতভেদ রয়েছে । হযরত রাসুল (সঃ)-এর তিন পুত্র ছিল । তাঁর দ্বিতীয় পুত্র হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাঃ)-এর উপাধি ছিল 'তাহের' এবং 'তৌয়ব' । এ কারণে কেউ কেউ বলেন, হযরত রাসুল (সঃ)-এর চার পুত্র ছিল । পক্ষান্তরে হযরত রাসুল (সঃ)-এর কন্যাগণ ইসলামী যুগ দেখতে পেয়েছেন এবং মদীনায় হিজরতের অংশ নিয়েছেন । এ কারণে কন্যাদের সম্পর্কে কোন মতভেদ নেই ।
১. হযরত কাসিম (রাঃ) : হযরত রাসুল (সঃ)-এর প্রথম সন্তান ছিলেন হযরত কাসিম (রাঃ) । হযরতের বিয়ের তিন বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন । হযরত কাসিম (রাঃ) দুই বছর বয়সে পরলোক গমন করেন । তাঁর নাম অনুসারেই হযরত রাসুল (সঃ)-কে আবুল কাসিম না কাসিমের পিতা বলা হতো । হযরত রাসুল (সঃ) এই শব্দটি খুব ভালবাসতেন । এই জন্যই সাহাবীগণ অতি ভক্তি ও ভালবাসার সাথে তাঁর কথা উল্লেখ করতে আবুল কাসিম (সঃ) বলতেন ।
২. হযরত জয়নাব (রাঃ) : হযরত রাসুল (সঃ)-এর জ্যেষ্ঠ কন্যা ছিলেন হযরত জয়নাব (রাঃ) । হযরতের বিয়ের পাঁচ বছর পরে, অর্থাৎ তাঁর ত্রিশ বছর হলে তাঁর খালাতো ভাই আবু আস্ ইবনে রবির সাথে তাঁর বিয়ে হয় । হযরত রাসুল (সঃ) নবুয়ত লাভের পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, কিন্তু তাঁর স্বামী আবু আস ইসলাম গ্রহণ করেনি ।
হযরত জয়নাব (রাঃ) বদরের যুদ্ধের পর মদিনায় হিজরত করার পথে কাফেরগণ কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে গুরুতরভাবে আহত হন এবং দীর্ঘদিন শয্যাশায়িনী থাকার পর হিজরী ৮ম সালে ইন্তেকাল করেন । হযরত জয়নাব (রাঃ)-এর স্বামী আবু আস হিজরী ৭ম সালে ইসলাম গ্রহণ করে মদিনায় হিজরত করেন ।
হযরত জয়নাব (রাঃ)-এর গর্ভে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন । পুত্রটির নাম ছিল আলী ও কন্যাটির নাম ছিল উমামা । আলী তার মাতার মৃত্যুর পরেই মৃত্যুমুখে পতিত হয় । হযরত রাসুল (সঃ)-এর মৃত্যুর পরে হযরত আলী (রাঃ) উমামাকে বিয়ে করেন । হিজরী ৫০ সালে হযরত উমামা (রাঃ) ইন্তেকাল করেন । তাঁর কোন সন্তানাদি জন্মগ্রহণ করেনি ।
৩. হযরত রোকেয়া (রাঃ): হযরত রোকেয়া (রাঃ) তাঁর বোন হযরত জয়নাব (রাঃ)-এর তিন বছরের ছোট ছিলেন । আবু লাহাবের পুত্র ওতবার সাথে তাঁর বিয়ে হয় । আবু লাহাবের আর এক পুত্রের সাথে হযরত রোকেয়া (রাঃ)-এর ছোট বোন হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ)-এর বিয়ে হয় ।
যখন পবিত্র কুরানের সূরা লাহাব নাজিল হয় তখন আবু লাহাব হযরত রাসুল (সঃ)-এর প্রতি রাগান্বিত হয়ে তার উভয় পুত্রকে বলেন, তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দাও । মুহাম্মদের কন্যাদেরকে তালাক না দিলে আমি তোমাদের মুখ দর্শন করবো না । তারা নিতান্ত অনিচ্ছা সত্তেও হযরত রাসুল (সঃ)-এর দু'কন্যাকে তালাক দিতে বাধ্য হয় ।
এ উভয় মেয়ের বিয়েই বাল্যকালে সম্পন্ন হয়েছিল । তখনও তাঁদের কোন সন্তানাদি জন্মে নাই । অতঃপর মক্কা বিজয়ের পর ওত্বা ইসলাম গ্রহণ করে । ওত্বা হযরত রোকেয়া (রাঃ)-কে তালাক দেয়ার পর হযরত রাসুল (সঃ) তাঁকে হযরত উসমান (রাঃ)-এর সাথে বিয়ে দেন । হযরত উসমান (রাঃ) আবিসিনিয়ায় হিজরত করার সময় হযরত রোকেয়া (রাঃ)-কেও সাথে নিয়ে যান । তৎপর হযরত রাসুল (সঃ) মদীনা হিজরত করার পরে হযরত উসমান (রাঃ) তাঁর স্ত্রী হযরত রোকেয়া (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে মদীনা চলে যান ।
হযরত রাসুল (সঃ) যখন বদরের যুদ্ধে যান তখন হযরত রোকেয়া (রাঃ) কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়ে শয্যা শায়িনী ছিলেন । সেজন্য তাঁকে দেখাশুনা করার জন্য হযরত উসমান (রাঃ) যুদ্ধে যেতে পারেন নি । হযরত রাসুল (সঃ) বদরের যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পূর্বেই হযরত রোকেয়া (রাঃ) ইন্তেকাল করেন । আবিসিনিয়ায় অবস্থানকালে হযরত উসমান (রাঃ)-এর ঔরসে হযরত রোকেয়া (রাঃ)-এর একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল, তার নাম রাখা হয়েছিল আবদুল্লাহ্ । মাতার ইন্তেকালের কিছুদিন পরেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন ।
৪. হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ): হযরত রোকেয়া (রাঃ)-এর ইন্তেকালের পর হযরত রাসুল (সঃ) তাঁর তৃতীয় কন্যা হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ)-কে হযরত উসমান (রাঃ)-এর সাথে বিয়ে দেন । এজন্য হযরত উসমান (রাঃ)-এর একটি উপাধি হয় "জিন্নুবায়েন" অর্থাৎ দুটি নূরের অধিকারী । হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ)-এর কোন সন্তানাদি জন্মেনি । হিজরী নবম সালের শাবান মাসে তিনি ইন্তেকাল করেন ।
৫. হযরত ফাতিমা জোহরা (রাঃ): বিশ্ব নবী হযরত রাসুল (সঃ)-এর সর্ব কনিষ্ঠ কন্যার নাম ছিল হযরত ফাতিমাতুজ জোহ্রা (রাঃ) । হযরত রাসুল (সঃ)-এর নবুয়ত লাভের পরের বছর তিনি জন্মগ্রহণ করেন । হিজরী ৬ষ্ঠ সালে আল্লাহ্ তায়ালার নির্দেশেই হযরত রাসুল (সঃ) হযরত আলী (রাঃ)-এর সাথে হযরত ফাতিমা (রাঃ)-এর সাথে বিয়ে দেন । বিয়ের ৭মাস ১৫ দিন পর তাঁদের প্রথম বাসর রাত যাপন করা হয় । বিয়ের সময় হযরত ফাতিমার বয়স ছিল ১৫ বছর ৫ মাস এবং হযরত আলী (রাঃ) বয়স হয়েছিল ২১ বছর ৫ মাস ।
হযরত রাসুল (সঃ) তাঁর কন্যাদের মধ্যে হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে সর্বাপেক্ষা অধিক স্নেহ করতেন । তিনি কোথাও যাওয়ার সময় সর্বশেষে তাঁর নিকট থেকে বিদায় নিতেন । তাঁকে না বলে তিনি কোথাও যেতেন না । আবার কোন স্থান থেকে বাড়ী ফিরে তিনি সর্বপ্রথম কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ)-এর সাথে দেখা সাক্ষাৎ না করে কিছু ও কিছু কথাবার্তা না বলে কারও সাথে দেখা বা আলাপ করতেন না ।
হযরত ফাতিমা (রাঃ) তাঁর স্বামী হযরত আলী (রাঃ)-কে অত্যন্ত ভালবাসতেন, ভক্তি, শ্রদ্ধা ও খেদমত করতেন । তিনি নবী কন্যা বলে কখনও স্বামীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করতেন না । হযরত আলী (রাঃ)-ও তাঁর স্ত্রী হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে নিজের প্রানাপেক্ষা বেশি ভালবাসতেন । হযরত ফাতিমা (রাঃ) জীবিত থাক্লা পর্যন্ত হযরত আলী (রাঃ) অন্য কোন বিয়ে করেননি । তাঁর ইন্তেকালের পরে সংসার অচল হয়ে পড়ায় উমামা (রাঃ)-কে বিয়ে করেছিলেন ।
হযরত রাসুল (সঃ)-এর ওফাতের ছ'মাস পরে হযরত ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসিনী হন । হযরত রাসুল (সঃ) ওফাতের আগেই কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে জানিয়েছিলেন- মা! তুমি আমার ইন্তেকালে দুঃখিত হয়ো না, আমার মৃত্যুর ঠিক ছ'মাস পরেই তুমি জান্নাতে আমার সাথে মিলিত হবে ।
বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর বংশ একমাত্র হযরত ফাতিমা (রাঃ)-এর বংশ থেকেই দুনিয়ায় জারী রয়েছে । তাঁর তিনি পুত্র ও তিন কন্যা জন্মগ্রহণ করেছিলেন । পুত্রদের নাম যথাক্রমে হযরত ইমাম হাসান (রাঃ), হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) ও হযরত ইমাম মোহসিন (রাঃ) । হযরত ইমাম মোহসিন (রাঃ) শিশুকালেই মৃত্যু মুখে পতিত হন । কন্যাদের নাম যথাক্রমে হযরত রোকেয়া (রাঃ), হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) ও হযরত জয়নাব (রাঃ) । জ্যেষ্ঠা কন্যা হযরত রোকেয়া (রাঃ) শৈশবকালেই ইন্তেকাল করেন । হযরত ইমাম হাসান (রাঃ)-এর ১৫ পুত্র ও ৮ কন্যা জন্মগ্রহণ করেন । আর হযরত হোসাইন (রাঃ)-এর ৬ পুত্র ও ৩ কন্যা জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তাঁদের বংশধরগণই আজ পর্যন্ত দুনিয়ায় বিদ্যমান রয়েছেন- তাঁরাই প্রকৃত সৈয়দ বংশ নামে অভিহিত ।
৬. হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ) : হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর উপাধি ছিল তৈয়ব ও তাহির । হযরত রাসুল (সঃ) নবুয়ত লাভের পর তাঁর জন্ম হয় এবং শৈশবেই তিনি পরলোক গমন করেন । তাঁর মৃত্যু সম্পর্কেই সূরা আল্ কাওছার অবতীর্ণ হয় । হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর ইন্তেকালের পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য কেউ থাকবে না ভেবে একদিন আস ইবন ওয়ায়িল বলল, মুহাম্মদ (সঃ) পুত্রহীন নির্বংশ । তাঁর নাম লওয়ার জন্যও কেউ থাকবে না , তিনি মরে গেলে তাঁর উৎপাত হতে তোমরা শান্তি লাভ করবে । তখনই সূরা কাওসার অবতীর্ণ করে আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রতিউত্তরে বলে দিলেনঃ
নির্বোধ কফেরগন বহু পুত্রের পিতা হওয়ার গৌরবে এবং জনবহুল বংশের মত্ত হয়ে রাসুল (সঃ)-কে এসব কথা বলেছিল । যবুর ও কোরআনে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর সম্বন্ধে কি বলেছেন, তা তারা জানত না । পবিত্র যবূরে মুহাম্মদ (সঃ)-এর প্রশংসায় লিখিত হয়েছে, আমি তোমার নাম সমস্ত পুরুষ-পরম্পরায় স্মরণ করবো । এই জাতিরা যুগে যুগে চিরকাল তোমার প্রশংসা করবে । হযরত রাসুল (সঃ)-এর প্রশংসায় যবূরে অন্যত্র আছে, তাঁর নাম অনন্তকাল থাকবে; সূর্যের স্তিতি পর্যন্ত তাঁর নাম সতেজ থাকবে, মানুষেরা তাতে আশীর্বাদ পাবে, সমুদয় জাতি তাঁকে ধন্য ধন্য বলবে ।
পবিত্র যবূর ও কোরানের ঘোষণার ফলে আজ বিশ্ব জগতে হযরত রাসুল (সঃ)-এর নাম সুনাম ও সুখ্যাতি সকলের নিকটই প্রিয় । শত্রুমিত্র নির্বিশেষে সকলেই তাঁর সুখ্যাতি ও যশকীর্তি গাইতে বাধ্য । অসংখ্য মুসলমান অন্তরে বাহিরে, সুখে-দুঃখে, আনন্দে বিপদে সর্বাবস্থায় আজানে, ইকামতে, তাশাহুদে, নামাজে, কালিমায় সর্বদা তাঁর পবিত্র নাম স্মরণ করে এবং মুগ্ধ প্রাণে তাঁর যশকীর্তি গাইতে থাকে । আর যারা নিজেদের জনবহুল বংশের অহংকারে মত্ত ছিল, আজ কোথাও তাদের নাম গন্ধ শুনতে পাওয়া যায় না ।
৭. হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) : হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) অষ্টম হিজরীর জিলহজ্জ মাসে হযরত মারিয়া কিবতিয়া(রাঃ)-এর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন । মদীনা মুনাওয়ারার আলিয়া নামক স্থানে হযরত রাসুল (সঃ) হযরত মারিয়া (রাঃ)-এর সাথে বাসস্থান নির্মাণ করেছিলেন । সেখানেই তাঁর জন্ম হয় । এই জন্য আলিয়া মহল্লাটি মাশরবায়ে ইব্রাহীম নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ।
হযরত ইব্রাহীম (রাঃ) হযরত রাসুল (সঃ)-এর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র । সালমা নামক ধাত্রী সূতিকা গৃহে নবজাতক ইব্রাহীম (রাঃ)-এর পরিচর্যা করেন এবং তার স্বামী আবু রাফি হযরত রাসুল (সঃ)-এর নিকট এই সুসংবাদ পৌঁছান । এই সংবাদে সন্তুষ্ট হয়ে হযরত রাসুল (সঃ) আবু রাফিকে একটি গোলাম দান করেন ।
সপ্তম দিবসে হযরত রাসুল (সঃ) তাঁর আকীকানুষ্ঠান সম্পন্ন করলেন । তাঁর মাথার চুল কেটে চুলের সমপরিমাণ রূপা দান করলেন । হযরত রাসুল (সঃ)-এর ভক্তিভাজন পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহীম (রাঃ)-এর নামানুসারে তাঁর নাম রাখলেন ইব্রাহীম । অতঃপর তাঁকে দুগ্ধ পান করানোর জন্য উম্মু বুরদা আন্সারিয়াকে ধাত্রী নিযুক্ত করলেন পারিশ্রমিক সরূপ তাঁকে এক কিত্তা খেজুর-বাগান দান করলেন । উম্মু বুরদার ঘরেই হযরত ইব্রাহীম (রাঃ)-এর ইন্তেকাল হয় । সংবাদ পেয়ে হযরত রাসুল (সঃ) হযরত আবদুর রহমান ইব্ন আওফ (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে উম্মু বুরদার বাড়ীতে গেলেন । তিনি গিয়ে দেখতে পেলেন, প্রাণ-প্রতীম ইব্রাহীম (রাঃ) অন্তিম অবস্থায় আছেন, যেন পিতার নিকট হতে শেষ বিদায় গ্রহণের অপক্ষা করছেন । তিনি তাঁকে তুলে কোলে নিলেন । তাঁর পবিত্র নয়নযুগল হতে দরদর করে অশ্রুজল প্রবাহিত হতে লাগল । হযরত আবদুর রহমান ইব্ন আওফ (রাঃ) বললেন- হুজুর, আপনারও এ-অবস্থা? তিনি বললেন, ইয়া রহমত । তিনি আরও বললেন- "হে প্রিয় ইব্রাহীম, তোমার কারণে আমরা চিন্তিত, নয়নে অশ্রু, অন্তরে দুঃখ, কিন্তু আমরা এমন কোন কথা বলব না যা আল্লাহ্র নিকট অপছন্দনীয় ।"
হযরত ইব্ন আওফ (রাঃ) বলেন, তিনি (হযরত ইব্রাহীম) শৈশবেই পরলোক গমন করেছেন ।
->রাহ্মাতাল্লিল আলামীনের গৌরবময় জীবনকথা ।
(দাগন ভূইয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা)
No comments:
Post a Comment