প্রশ্ন: ৩০১: কুরআনের আয়াত ”কোরআন আমি সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহনের জন্য অতএব,উপদেশ গ্রহনকারি কেহ আছে কি? “ - আললাহর এই কথাটা কাদের জন্য বলেছেন,সুধু কি আলেমদের জন্য, নাকি পৃথিবীর সব মানুষের জন্য? কোরআন থেকে জানতে চাই!যারা শিক্ষিত তারা যদি কোরআন পরে, এবং চিন্তা ভাবনা করে, তাহলে তারা বুঝতে পারবে কি পারবেনা,জানাবেন!

প্রথমত দ্বীন ও শরীয়তের পার্থক্য বুঝতে হবে। দ্বীন সব নবীর ক্ষেত্রেই এক ছিল। সকল প্রকার শিরক থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র আল্লাহকে নিজের ইলাহ রব ও বিধানদাতা হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া এবং এই জীবনের কার্যাবলীর জন্য অবশ্যই পরকালে হিসাব দিতে হবে এবং পরকাল অবশ্যই সংঘটিত হবে এবং তা দিনের আলোর মতই সত্য - এই ধরণের প্রধান প্রধান নীতি নির্ধারক বিষয়গুলোর সমস্টিই হচ্ছে দ্বীন। কুরআন থেকে এই দ্বীন বুঝা সহজ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যাক্তিই খারাপ পথ আর ভালো পথের ব্যাপারে সহজেই কুরআন থেকে জানতে পারবে। কিন্তু ইসলামী জীবন পরিচালনার জন্য সার্বিক নিয়ম কানুনের সমস্টি হচ্ছে শরীয়ত, এই শরীয়ত বিভিন্ন নবীর সময় বিভিন্ন পরিবর্তন হয়েছে। তো কুরআন হাদীস থেকে জীবন পরিচালনার জন্য সার্বিক বিধি বিধান চয়ন করার জন্য কুরআন হাদীসে বিশেষজ্ঞ হতে হবে। এটি সর্ব সাধারণের পক্ষে এই বিধিবিধান চয়ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষজ্ঞ আলেমদের ও ইসলামের বড় বড় ইমামদের দারস্থ হতে হবে। ইমামদের রচিত ইসলামী জীবন পরিচালনার এই বিধিবিধানের সমস্টিই হচ্ছে মাযহাব।

এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কোন ব্যাক্তি যদি কুরআন হাদীস ইত্যাদি গভীর অধ্যয়নের মাধ্যমে জীবন চলার বিধি বিধান চয়ন করার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তবে তার জন্য মাযহাব মানা জরুরী নয়। বরং সে তাকে এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইমামদের মতামত কুরআন হাদীসের আলোকে যাচাই করে এবং গবেষণা করে দেখতে পারে। কিন্তু যে ব্যাক্তি কুরআন হাদীস থেকে ইসলামী জীবন পরিচালনার বিধি বিধান চয়ন করতে সক্ষম নয়, তার জন্য মাযহাব মান জরুরী ।


No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...