তাকওয়া কি???
তাকওয়া এতই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে দুইশতেরো বেশি জায়গায় এই তাকওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাকওয়া কি জিনিস?
তাকওয়া কাকে বলে!!
তাকওয়া কাকে বলে!!
একবার উমর ইবনুল খাত্বাব (রাঃ) —উবাই বিন কাব (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন~
মা মাআনাত তাকওয়া?
তাকওয়া কি জিনিস?
তাকওয়া কাকে বলে?
তাকওয়া অর্থ কি?
মা মাআনাত তাকওয়া?
তাকওয়া কি জিনিস?
তাকওয়া কাকে বলে?
তাকওয়া অর্থ কি?
উবাই বিন কাব (রাঃ) বললেন- আপনি কি কখনও এমন কোন সুরু পথ দিয়ে চলেছেন! যার দুপাশে কাটাদার গাছ রয়েছে! বা আপনি কি কখনও কাটাদার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পথ অতিক্রম করেছেন??
তখন উমর ইবনুল খাত্বাব (রাঃ) বললেন হা করেছি।
উবাই বিন কাব (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কাটাদার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কি ভাবে পথ অতিক্রম করে থাকেন?
উমর ইবনুল খাত্বাব (রাঃ) বললেন আমি আমার জামা—কাপড়কে গুছিয়ে, শরীরকে গুটিয়ে খুব সতর্কতার সাথে পথ অতিক্রম করি! যাতে করে আমার জামা কাপড়ে আমার শরীরে কাটা বিদ্ধ না হয়!
উবাই বিন কাব (রাঃ) তখন উমর ইবনুল খাত্বাব (রাঃ) বললেন—আপনি যে ভাবে কাটার আচড় থেকে বাচার জন্য খুব সতর্কতার সাথে পথ অতিক্রম করে থাকেন! ঠিক তেমনি ভাবে দুনিয়ার জীবনে সতর্কতার সাথে গুনাহ থেকে বেচে চালার নামই হচ্ছে তাকওয়া।
ভাই ও বোনেরা — উবাই বিন কাব (রাঃ) এর উল্লেখিত বক্তব্য থেকে আমার বুঝতে পারলাম যে দুনিয়াতে আল্লাহকে ভয় করে সতর্কতার সাথে গুনাহ থেকে বেচে চলার নামই হলো তাকওয়া।
তাকওয়ার অর্থ বুঝার জন্য আরেকটি উদাহরণ দেই—মনে করুন আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। আপনি যে রুমে বসে কাজ করেন সেই রুমে আপনার মাথার উপরে একটি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে! যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আপনাকে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করছেন! আপনি কি কাজ করছেন নাকি কাজে ফাকি দিচ্ছেন।
সেই প্রতিষ্ঠানে আপনি কি ভাবে থাকবেন। আপনি কি কাজে ফাকি দিবেন নাকি সবসময় সতর্ক থাকবেন এবং উধ্যমতার সাথে কাজ করবেন। নিশ্চয় আপনি সতর্ক থাকবেন এবং ঠিক মত কাজ করবেন। কারন আপনার মাথার উপর সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। আর প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আপনাকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছে।
ঠিক তেমনি ভাবে তাকওয়ার মানেই হচ্ছে এই সবসময় অনুভূতি থাকা যে টুয়েন্টি ফোর অওয়ার আল্লাহ তাআলা আপনাকে মনিটরিং করছেন। চব্বিশ ঘন্টা আল্লাহ সুবহানু ওয়াত-আলা আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছেন। পৃথিবীর সবাইকে ফাকি দিতে পারলেও আপনি আল্লাহ সুবহানু ওয়তা-আলাকে ফাকি দিতে পারবেন না। পৃথিবীর সবাইকে ধোকা দিতে পারলেও আপনি আল্লাহ সুবহানু ওয়াত-আলাকে ধোঁকা দিতে পারবেন না।
কারন—অল্লাহু বাছিরুম বিল ইবাদ!
অর্থ—বান্দা যা করছে আল্লাহ তাআলা সবেই দেখছেন!
অল্লাহু বাছিরুম বিমা তামালুন!
অর্থ—তোমরা যা করছো আল্লাহ তাআলা সবিই দেখছেন! আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ব্যাপারে অবগত আছেন!
অর্থ—বান্দা যা করছে আল্লাহ তাআলা সবেই দেখছেন!
অল্লাহু বাছিরুম বিমা তামালুন!
অর্থ—তোমরা যা করছো আল্লাহ তাআলা সবিই দেখছেন! আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ব্যাপারে অবগত আছেন!
আপনার অপরাধ গুলো কেউ দেখুখ আর না দেখুখ আল্লাহ তাআলা কিন্তু ঠিকিই দেখছেন!পৃথিবীর অন্য কোন শক্তিনয় শুধু মাত্র এই অনুভূতিটাই আপনাকে হারাম কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। শুধু এই অনুভূতিটা থাকার কারনে সাহাবা (রাঃ) অইয়ামে জাহিলিয়াতের সময়েও তারা সোনার মানুষে পরিনত হয়ে গিয়েছিলেন। তারা আল্লাহকে ভয়করে সবধরনের গুনাহর কাজ থেকে বিরত থেকেছেন।
প্রিয় ভাইও বোনেরা আসুন তাকওয়া অর্জন করি আল্লাহকে ভয় করতে শিখি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কালামে মাজিদে ইরশাদ করেন—হে ঈমানদরগন!আল্লাহকে যথাযথ ভয়কর। আর মুসলিম না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করো না। (-আল ইমরানঃ১০২)
ìììআবু আনাছííí
No comments:
Post a Comment