গোশ্তের ব্যবস্থা
4বনি-ইসরাইলদের
সংগে অন্যান্য জাতির যে লোকেরা ছিল তারা অন্য রকম খাবারের লোভে পাগল হয়ে
উঠল। তাদের দেখাদেখি বনি-ইসরাইলরা আবার কান্নাকাটি করে বলতে লাগল, “হায়,
যদি আমরা গোশ্ত খেতে পেতাম! 5মিসর দেশে বিনা পয়সায় মাছ খাবার কথা আমাদের মনে পড়ছে। এছাড়া শসা, তরমুজ, পিঁয়াজ, সবজী পিঁয়াজ এবং রসুনের কথাও আমাদের মনে পড়ছে। 6কিন্তু এখন আমাদের ভিতরটা শুকিয়ে গেছে। মান্না ছাড়া আমাদের চোখে আর কিছুই পড়ছে না।”
7মান্নার আকার ছিল ধনে বীজের মত, আর তা দেখতে ছিল গুগ্গুলুর মত। 8লোকেরা
ঘুরে ঘুরে সেগুলো কুড়িয়ে আনত আর জাঁতায় কিংবা হামানদিস্তায় গুঁড়া করে নিত।
সেগুলো তারা হাঁড়ির মধ্যে সিদ্ধ করত কিংবা তা দিয়ে রুটি বানাত। তার স্বাদ
ছিল জলপাইয়ের তেল দিয়ে বানানো পিঠার মত। 9রাতে ছাউনি-এলাকায় শিশির পড়ত আর তার উপর পড়ত মান্না।
10মূসা
শুনতে পেলেন প্রত্যেক পরিবারের লোকেরা তাদের নিজের নিজের তাম্বুর দরজার
কাছে কাঁদছে। এতে মাবুদ রাগে জ্বলে উঠলেন আর মূসাও বিরক্ত হলেন। 11তিনি
মাবুদকে বললেন, “তুমি তোমার গোলামকে কেন এই বিপদে ফেলেছ? তোমাকে নারাজ
করবার মত আমি এমন কি করেছি যে, তুমি এই সমস্ত লোকদের বোঝা আমার উপর
চাপিয়েছ? 12আমি
কি এই সব লোকদের পেটে ধরেছি? আমি কি এদের প্রসব করেছি? তুমি এদের
পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশ দেবার কসম খেয়েছিলে সেখানে কেন তুমি আমাকে
পালক-পিতার মত করে তাদের কোলে করে নিয়ে যেতে বলছ? 13এই সমস্ত লোকদের জন্য আমি কোথায় গোশ্ত পাব? তারা আমার কাছে কেবলই ‘গোশ্ত খেতে দাও’ বলে কান্নাকাটি করছে। 14তাদের বোঝা খুব ভারী, আমার একার পক্ষে তা বয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। 15তুমি
যদি আমার অবস্থা এই রকমই কর তবে এখনই তুমি আমাকে মেরে ফেল। যদি আমি তোমার
রহমত পেয়েই থাকি তবে নিজের চোখে আমার নিজের সর্বনাশ আমাকে দেখতে দিয়ো না।”
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক এবং সহজ সরল সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুক আমিন
ReplyDeleteআল্লাহ তুনি আমাদের কে সঠিক পথে থাকার ব্যবস্থা করে দিন।
ReplyDelete