দেখুন মথি ২২: ৩২-৩৩, মার্ক ১২: ১৮-২৭, লুক ২০: ২৭-৪০

মথি ২২: ৩২-৩৩
পুনরুত্থান সম্পর্কে বিতর্ক
23সেদিন সদ্দুকী সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক তাঁর কাছে এসেছিল। (এরা বলত পুনরুত্থান বলে কিছু নেই)।মার্ক 12:18-27; লুক 20:27-38।প্রেরিত 23:6-8। 24তারা বলল, গুরুদেব, মোশি বলেছেন, ‘কেউ যদি নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায়, তাহলে মৃতের ভাই সেই বিধবাকে বিয়ে করে নিজের ভাইয়এর বংশ রক্ষা করবে’।দ্বি.বি. 25:5-6।25সাতটি ভাই আমাদের এখানে বাস করত। বড় ভাইটি বিয়ের পর মারা গেল এবং তার কোন সন্তান না থাকায় তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করল। 26অনুরূপ ভাবে দ্বিতীয় তৃতীয় থেকে শুরু করে সপ্তম ভাই পর্যন্ত সকলেই তাই করল। 27স্ত্রীলোকটি নিজেও শেষে মারা গেল। 28তাহলে পুনরুত্থানে এই সাতজনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে? কারণ সকলেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
29যীশু তাদের বললেন, তোমরা ভুল করছ, তোমাদের না আছে শাস্ত্রজ্ঞান, না আছে ঈশ্বরের শক্তি সম্বন্ধে কোনো ধারণা। 30মৃতেরা যখন পুনরুত্থিত হয় তখন তারা বিয়ে করে না, কাউকেও আর বিয়ে দেওয়া হয় না, তারা হয় স্বর্গদূতের মত। 31মৃতদের পুনরুত্থান সম্বন্ধে স্বয়ং ঈশ্বর কি বলেছেন তা কি তোমরা পড় নি? 32তিনি বলেছেন, ‘আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর’। এর অর্থ হল যে তিনি মৃতদের ঈশ্বর নন, তিনি জীবিতদের ঈশ্বর।মথি 8:11; যাত্রা 3:6। 33যীশুর কথা শুনে ও তাঁর শিক্ষায় তারা চমৎকৃত হল।

জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে
23সেই একই দিনে কয়েকজন সদ্দূকী ঈসার কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা বলে কিছু নেই। 24এইজন্য তাঁরা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হুজুর, মূসা বলেছেন, যদি কোন লোক সন্তানহীন অবস্থায় মারা যায় তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে। 25আমাদের এখানে সাত ভাই ছিল। প্রথম জন বিয়ে করে মারা গেল এবং সন্তান না থাকাতে সে তার ভাইয়ের জন্য নিজের স্ত্রীকে রেখে গেল। 26এইভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও সপ্তম ভাই পর্যন্ত সেই স্ত্রীকে বিয়ে করল। 27শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল। 28তাহলে মৃতেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন ঐ সাত ভাইয়ের মধ্যে এই স্ত্রীলোকটি কার স্ত্রী হবে? তারা সবাই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
29ঈসা তাঁদের বললেন, “আপনারা ভুল করছেন, কারণ আপনারা পাক-কিতাবও জানেন না, আল্লাহ্‌র শক্তির বিষয়েও জানেন না। 30মৃতেরা জীবিত হয়ে উঠবার পরে বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না; তারা ফেরেশতাদের মত হবে। 31মৃতদের জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে আল্লাহ্‌ যে কথা আপনাদের বলেছেন সেই কথা কি আপনারা পাক-কিতাবে পড়েন নি? 32তাতে লেখা আছে, ‘আমি ইব্রাহিমের আল্লাহ্‌, ইসহাকের আল্লাহ্‌ এবং ইয়াকুবের আল্লাহ্‌।’ কিন্তু আল্লাহ্‌ তো মৃতদের আল্লাহ্‌ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্‌।”
33এই কথা শুনে লোকেরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য হল।
================================================


মার্ক ১২: ১৮-২৭
জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে
18কয়েকজন সদ্দূকী ঈসার কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা বলে কিছু নেই। এইজন্য তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, 19“হুজুর, মূসা আমাদের জন্য এই কথা লিখে গেছেন, ‘যদি কোন লোকের ভাই সন্তানহীন অবস্থায় স্ত্রী রেখে মারা যায় তবে সেই লোক তার ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করবে এবং ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে।’ 20খুব ভাল, তারা সাত ভাই ছিল। প্রথমজন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল। 21তখন দ্বিতীয়জন ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল, কিন্তু সেও সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল। তৃতীয়জনের অবস্থাও তা-ই হল। 22এইভাবে সাতজনের কারও ছেলেমেয়ে হল না। শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল। 23তাহলে মৃত লোকেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন সে কার স্ত্রী হবে? কারণ সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
24জবাবে ঈসা বললেন, “আপনারা ভুল করছেন, কারণ আপনারা কিতাবও জানেন না এবং আল্লাহ্‌র শক্তির বিষয়েও জানেন না। 25মৃত লোকেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন তারা বিয়েও করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না; তারা তখন ফেরেশতাদের মত হবে। 26মৃতদের জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে নবী মূসার কিতাবে লেখা জ্বলন্ত ঝোপের কথা কি আপনারা পড়েন নি যে, আল্লাহ্‌ তাঁকে বললেন, ‘আমি ইব্রাহিমের আল্লাহ্‌, ইসহাকের আল্লাহ্‌ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্‌’? 27আল্লাহ্‌ তো মৃতদের আল্লাহ্‌ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্‌। আপনারা খুব ভুল করছেন।”

================================

লুক ২০: ২৭-৪০

জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে
27সদ্দূকীদের মধ্যে কয়েকজন ঈসার কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে উঠা বলে কিছু নেই। তাঁরা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 28“হুজুর, মূসা আমাদের জন্য এই কথা লিখে গেছেন, সন্তানহীন অবস্থায় যদি কোন লোক তার স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে। 29খুব ভাল, ধরুন, সাতজন ভাই ছিল। প্রথম জন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল। 30-31পরে দ্বিতীয় ও তার পরে তৃতীয় ভাই সেই বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল এবং সেই একইভাবে সাতজনই ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল। 32শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল। 33তাহলে যেদিন মৃতেরা জীবিত হয়ে উঠবে সেই দিন সে কার স্ত্রী হবে? সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
34ঈসা তাঁদের বললেন, “এই কালের লোকেরা বিয়ে করে এবং তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। 35কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে আগামী যুগে পার হয়ে যাবার যোগ্য বলে যাদের ধরা হবে, তারা বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না। 36তারা আর মরতে পারে না, কারণ তারা ফেরেশতাদের মত। তারা আল্লাহ্‌র সন্তান কারণ মৃত্যু থেকে তাদের জীবিত করা হয়েছে। 37জ্বলন্ত ঝোপের বিষয়ে যেখানে লেখা আছে সেখানে মূসা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, মৃতেরা সত্যিই জীবিত হয়ে ওঠে। সেখানে মূসা মাবুদকে ‘ইব্রাহিমের আল্লাহ্‌, ইসহাকের আল্লাহ্‌ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্‌’ বলে ডেকেছেন। 38কিন্তু আল্লাহ্‌ তো মৃতদের আল্লাহ্‌ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্‌। তাঁরই উদ্দেশ্যে সব লোক বেঁচে থাকে।”
39তখন কয়েকজন আলেম বললেন, “হুজুর, আপনি ভালই বলেছেন।” 40তাঁরা আর কোন কিছু ঈসাকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস পেলেন না।






1 comment:

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...