আদি পুস্তক ১১: ২৯ এবং ১৭: ১৭

 
শেম বংশের বিবরণ
 
 
10শেম-এর বংশ বৃত্তান্ত নিম্নরূপঃ শেম-এর একশো বছর বয়সে, প্লাবনের দুই বছর পরে আরফাকষাদের জন্ম হল। 11আরফাকষাদের জন্মের পরে শেম আরও পাঁচশো বছর জীবিত থেকে আরও পুত্রকন্যার জন্ম দিলেন। 12আরফাকষাদের পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে শেলাহ্-এর জন্ম হল। 13শেলাহ্-এর জন্মের পর আরফাকষাদ চারশো তিন বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন। 14শেলাহ্-এর ত্রিশ বছর বয়সে এবেরের জন্ম হল। 15এবেরের জন্মের পর শেলাহ্ চারশো তিন বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন। 16এবেরের চৌত্রিশ বছর বয়সে পেলেগের জন্ম হল। 17পেলেগের জন্মের পর এবের চারশো ত্রিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন। 18পেলেগের ত্রিশ বছর বয়সে রেয়ুর জন্ম হল। 19রেয়ুর জন্মের পর পেলেগ দুশো নয় বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন। 20রেয়ুর বত্রিশ বছর বয়সে সেরুগের জন্ম হল। 21সেরুগের জন্মের পর রেয়ূ দুশো সাত বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন। 22সেরুগের ত্রিশ বছর বয়সে নাহোরের জন্ম হল। 23নাহোরের জন্মের পর সেরুগ দুশো বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন। 24নাহোরের উনত্রিশ বছর বয়সে তেরাহ্-এর জন্ম হল।
25তেরাহের জন্মের পর নাহোর একশো উনিশ বছর জীবিত থেকে আরও পুত্র কন্যার জন্ম দিলেন।
26তেরাহ্ সত্তর বছর বয়সে অব্রাম, নাহোর ও হারোণের জনক হলেন।
27তেরাহের বংশবৃত্তান্ত নিম্নরূপঃ তেরাহ্ ছিলেন অব্রাম, নাহোর ও হারোণের পিতা। 28হারোণ লোটের পিতা। কিন্তু হারোণ তাঁর পিতা তেরাহ্ জীবিত থাকতেই নিজ জন্মস্থান কলদীয়দের দেশে উর নামক স্থানে প্রাণত্যাগ করেন।  
 
29অব্রাম ও নাহোর উভয়েই বিবাহিত ছিলেন। অব্রামের স্ত্রীর নাম সারী ও নাহোরের স্ত্রীর নাম ছিল মিলকা। এই স্ত্রী ছিলেন হারোণের কন্যা। 30হারোণ ছিলেন মিল্‌কা ও ইসকার পিতা। সারী ছিলেন বন্ধ্যা, তাঁর কোন সন্তান ছিল না।
 
31তেরাহ্ তাঁর পুত্র অব্রাম ও হারোণের পুত্র ও তাঁর পৌত্র লোট এবং পুত্রবধূ অব্রামের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কনান দেশে যাওয়ার জন্য কলদীয়দের দেশের উর নামক স্থান থেকে যাত্রা করলেন। কিন্তু তাঁরা হারাণ পর্যন্ত এসে সেখানেই বসতি স্থাপন করলেন। 32পরে দুশো পাঁচ বছর বয়সে হারাণেই তেরাহ্-র মৃত্যু হল।
 
=====================
 


সুন্নত সংস্কারের প্রবর্তন
1অব্রামের নিরানব্বই বছর বয়সে প্রভু পরমেশ্বর তাঁকে দর্শন দিয়ে বললেন, আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি আমার প্রতি বিশ্বস্ত থেকে জীবন যাপন কর এবং পূর্ণতা লাভ কর। 2আমি তোমার সঙ্গে এক সন্ধির চুক্তিতে আবদ্ধ হব এবং তোমার বংশকে বহুগুণে বর্ধিত করব।
অব্রাম তখন উপুড় হয়ে প্রণিপাত করলেন। 3ঈশ্বর তাঁকে বললেন, 4দেখ, তোমার সঙ্গে আমি সন্ধির চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছি, সেই অনুযায়ী তুমি হবে বহুজাতির আদি পিতা। 5তোমার নাম আর অব্রাম (মহান পিতা) থাকবে না, তোমার নাম হবে অব্রাহাম। কারণ আমি তোমাকে বহু জাতির আদি পিতা করব।রোমীয় 4:17 6আমি তোমাকে প্রজাবন্ত করব, তোমা থেকে উৎপন্ন করব বহু জাতি। নৃপতিরা জন্মাবে তোমার বংশে। 7তোমার সঙ্গে এবং পুরুষানুক্রমে তোমার বংশধরদের সঙ্গে আমি যে সন্ধির চুক্তিতে আবদ্ধ হব, তা হবে চিরস্থায়ী। আমি তোমার ঈশ্বর এবং তোমার বংশধরদেরও ঈশ্বর হব।লুক 1:55 8তুমি যে দেশে প্রবাস করছ, সেই সমগ্র কনান দেশের সত্ত্বাধিকার তোমাকে এবং তোমার বংশধরদের চিরকালের জন্য দান করব, আর আমিই হব তোমার ঈশ্বর।প্রেরিত 7:5
9ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, তুমি আমার সঙ্গে স্থাপিত সন্ধি চুক্তি পালন করবে, তোমার উত্তরপুরুষেরা পুরুষানুক্রমে তা পালন করবে। 10তোমার সঙ্গে এবং তোমার উত্তরপুরুষদের সঙ্গে আমার সন্ধিচুক্তির শর্ত হল এই: তোমাদের মধ্যে যারা পুরুষ তাদের প্রত্যেকের লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করতে হবে।প্রেরিত 7:8; রোমীয় 4:11 11তোমরা নিজেদের লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করবে, তা-ই হবে তোমাদের সঙ্গে আমার স্থাপিত সন্ধি চুক্তির নিদর্শন।
12পুরুষানুক্রমে তোমরা প্রত্যেক পুরুষ সন্তানের বয়স আটদিন হলে তার লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করবে। তোমাদের বংশের নয় এমন বিজাতীয় কেউ যদি তোমাদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে বা কাউকে যদি অর্থমূল্যে ক্রয় করা হয় তাহলে তাদেরও লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করবে। 13তোমাদের পরিবারে জাত অথবা মূল্যদ্বারা ক্রীত উভয়েরই লিঙ্গাগ্রচর্ম অবশ্যই ছেদন করবে। তোমাদের দেহে আমার সঙ্গে সন্ধি চুক্তির এই চিহ্ন চিরস্থায়ী সম্বন্ধের চিহ্ন হয়ে থাকবে। 14লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করা হয়নি এমন কোন পুরুষ স্বজাতিচ্যুত হবে, কারণ সে আমার সন্ধিচুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
15ঈশ্বর অব্রাহামকে আরও বললেন, তুমি তোমার স্ত্রী সারীকে আর সারী বলে ডাকবে না। তার নাম হবে সারা17:15 সারা: রানী।। আমি তাকে আশীর্বাদ করব, সে হবে বহুজাতির আদিমাতা এবং তার থেকে উৎপন্ন হবে প্রজাকুলের নৃপতিবৃন্দ। 16অব্রাহাম তখন উপুড় হয়ে প্রণিপাত করলেন ও হাসলেন।  
 
17তিনি মনে মনে বললেন, একশো বছর বয়স যার, সেই বৃদ্ধের কি সন্তান হবে? নব্বই বছরের বৃদ্ধা সারা কি সন্তান প্রসব করবে? 
 
 18অব্রাহাম ঈশ্বরকে বললেন, তোমার অনুগ্রহে ইশ্মায়েলই বেঁচে থাকুক। 19ঈশ্বর বললেন, কিন্তু তোমার স্ত্রী সারা অবশ্যই পুত্রের জননী হবে, তুমি তার নাম রেখ ইসহাক17:19 ইসহাক: হাস্য/ ঈশ্বর হাসেন।। আমি তার সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন করব এবং তার ভাবী বংশধরদের সঙ্গে তা হবে চিরস্থায়ী সম্বন্ধ। 20ইশ্মায়েল সম্পর্কে তোমার নিবেদনও আমি গ্রাহ্য করলাম। আমি তাকেও আশীর্বাদ করব। তাকে আমি প্রজাবন্ত করব, তার বংশকে করব বহুগুণে বর্ধিত। তার বংশে বারোজন গোষ্ঠীপতি উৎপন্ন হবে এবং আমি তাকে এক বিরাট জাতিতে পরিণত করব। 21কিন্তু আগামী বছর এই সময়ে সারার যে পুত্র জন্মগ্রহণ করবে, সেই ইস্‌হাকের সঙ্গেই আমি আবদ্ধ হব এই সন্ধি চুক্তিতে। 22কথা শেষ করে ঈশ্বর অব্রাহামের কাছ থেকে অন্তর্হিত হলেন। অব্রাহাম ঈশ্বরের 23নির্দেশ অনুযায়ী সেই দিনই তাঁর পুত্র ইশ্মায়েল এবং তার সঙ্গে পরিবারে জাত এবং অর্থমূল্যে ক্রীত অব্রাহামের পরিবারে যত পুরুষ ছিল তাদের সকলেরই লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করলেন। 24লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদনের সময়ে অব্রাহামের বয়স হয়েছিল নিরানব্বই বছর, 25আর তাঁর পুত্র ইশ্মায়েলের বয়স ছিল তের বছর। 26একই দিনে অব্রাহাম ও তাঁর পুত্র ইশ্মায়েল উভয়ের লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করা হল। 27সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারে জাত এবং বিজাতীয় লোকদের কাছ থেকে অর্থমূল্যে ক্রীত সমস্ত পুরুষেরও লিঙ্গাগ্রচর্ম ছেদন করা হল।

No comments:

Post a Comment

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...