1প্রভু পরমেশ্বর মোশি ও হারোণকে বললেন, 2যদি
কোন ব্যক্তির গাত্রচর্মে কোন স্ফীতি, উদ্ভেদ বা কোন দাগ দেখা দেয় এবং
তা তার দেহে কুষ্ঠরোগের মত দাগ সৃষ্টি করে তাহলে সেই ব্যক্তিকে পুরোহিত
হারোণ কিম্বা তার পুরোহিত-পুত্রদের কারও কাছে নিয়ে যেতে হবে। 3পুরোহিত
তার দেহের সেই দাগ পরীক্ষা করে দেখবে। যদি আক্রান্ত স্থানের লোম সাদা হয়
এবং সেই দাগ গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর হয় তাহলে তা কুষ্ঠক্ষত। পুরোহিত তা
দেখার পর সেই ব্যক্তিকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে।
4তার
শরীরে দাগ যদি সাদা হয় কিন্তু গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর না হয় এবং
ক্ষতস্থানের লোম যদি সাদা না হয়ে থাকে তাহলে সেই চর্মরোগাক্রান্ত
ব্যক্তিকে সাতদিন পৃথক করে রাখবে। 5সপ্তম
দিনে পুরোহিত তাকে আবার পরীক্ষা করবে। যদি সে দেখে যে ক্ষত একই রকম আছে,
গাত্রচর্মে ছড়িয়ে পড়েনি, তাহলে পুরোহিত তাকে আরও সাতদিন পৃথক করে রাখবে। 6সপ্তম
দিনে পুরোহিত তাকে আবার পরীক্ষা করে দেখবে। যদি আক্রান্ত স্থান বিবর্ণ হয়
এবং গাত্রচর্মের ক্ষত আর ছড়িয়ে না পড়ে, তাহলে পুরোহিত তাকে শুচি বলে
ঘোষণা করবে। সেই ক্ষত একপ্রকার উদ্ভেদ মাত্র। সেই ব্যক্তি তার পরিধেয়
বস্ত্র ধুয়ে ফেলার পর শুচি হবে। 7কিন্তু
শুচিকরণের জন্য পুরোহিতকে দেখানোর পর যদি তার দেহে সেই উদ্ভেদ বিস্তার
লাভ করে তাহলে আবার তাকে পুরোহিতের দ্বারা পরীক্ষা করাতে হবে। 8পুরোহিত
পরীক্ষা করে যদি দেখে সেই উদ্ভেদ তার দেহে বিস্তার লাভ করেছে তাহলে সে
তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। সেই উদ্ভেদ কুষ্ঠরোগের। 9কোন ব্যক্তির দেহে কুষ্ঠরোগের মত দাগ হলে তাকে পুরোহিতের কাছে নিয়ে যেতে হবে। 10পুরোহিত
তাকে পরীক্ষা করে দেখবে। যদি তার গাত্রচর্মের কোন স্থান স্ফীত ও
শ্বেতবর্ণ হয়ে থাকে এবং সেখানকার লোম সাদা হয় ও স্ফীত স্থানে ক্ষত সৃষ্টি
হয়ে থাকে, 11তবে তা হচ্ছে তার দেহের পুরাতন চর্মরোগ। পুরোহিত তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে কিন্তু পৃথক করবে না, কারণ সে অশুচি। 12সারা দেহে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়লে, পুরোহিত যদি দেখে যে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাথা থেকে পা পর্যন্ত চর্মরোগ ছেয়ে গেছে, 13তাহলে পুরোহিত তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। তার সর্বাঙ্গই সাদা, তাই সে শুচি। 14কিন্তু তার দেহে ক্ষত সৃষ্টি হলে সে অশুচি হবে। 15পুরোহিত তার ক্ষত পরীক্ষা করে তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। সেই ক্ষত অশুচি কারণ তা কুষ্ঠ। 16সেই ক্ষত ভাল হয়ে আবার যদি সাদা হয়ে যায়, তখন তাকে পুরোহিতদের কাছে যেতে হবে। পুরোহিত তাকে পরীক্ষা করে দেখবে। 17যদি তার ক্ষত সাদা হয়ে থাকে তবে পুরোহিত সেই রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে শুচি বলে ঘোষণা করবে । সেই ব্যক্তি শুচি।
18দেহের কোথাও ফোড়া হয়ে ভাল হয়ে যাওয়ার পর যদি ফোড়ার জায়গায় সাদা কোন স্ফীতি কিম্বা সাদা বা গোলাপী রং-এর দাগ হয়, 19তবে পুরোহিতকে তা দেখাতে হবে। 20পুরোহিত
তা পরীক্ষা করে দেখবে, যদি আক্রান্ত স্থান গাত্রচর্মের থেকে গভীর হয়ে থাকে
এবং সেখানকার লোম সাদা হয় তবে পুরোহিত তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। তা
ফোড়া থেকে জাত কুষ্ঠ ব্যাধি। 21কিন্তু
পুরোহিত যদি আক্রান্ত স্থানে লোম না দেখে এবং গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর মনে
না হয় এবং যদি সেই দাগ বিবর্ণ হয় তাহলে পুরোহিত তাকে সাতদিন পৃথক করে
রাখবে। 22সেই দাগ যদি ছড়িয়ে না পড়ে, তাহলে পুরোহিত তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে, কারণ সেটি ক্ষত। 23কিন্তু যদি সেই দাগ একই জায়গায় সীমিত থাকে, ছড়িয়ে না পড়ে তবে তা ফোড়ার দাগ। পুরোহিত তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে।
24যদি কারও দেহ আগুনে পুড়ে যায় এবং পোড়া জায়গার ক্ষতে সাদা কিম্বা গোলাপী দাগ হয় তবে পুরোহিত তা পরীক্ষা করে দেখবে। 25সেই
জায়গার লোম যদি সাদা হয় এবং দাগ যদি গাত্রচর্ম থেকে গভীর হয় তবে তা
অগ্নিদাহ থেকে উদ্ভূত কুষ্ঠব্যাধি। অতএব পুরোহিত তাকে অশুচি বলে ঘোষণা
করবে, কারণ তা কুষ্ঠরোগের ক্ষত। 26কিন্তু
পুরোহিত যদি দেখে সেই জায়গার লোম সাদা নয় ও দাগ গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর
নয়, কিন্তু বিবর্ণ তাহলে পুরোহিত তাকে সাতদিন পৃথক করে রাখবে। 27সপ্তম
দিনে পুরোহিত তাকে আবার পরীক্ষা করবে, যদি ঐ দাগ বেড়ে যায় তাহলে পুরোহিত
তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে, কারণ তা কুষ্ঠরোগের ক্ষত। 28যদি
দাগ যেমন ছিল তেমনই থাকে, বেড়ে না যায়, কিন্তু বিবর্ণ হয়, তাহলে তা
দগ্ধস্থানের, স্ফীতি মাত্র। পুরোহিত তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। কারণ তা
আগুনে পোড়া ক্ষতের দাগ।
29কোন পুরুষ বা নারীর মাথায় অথবা চিবুকে ক্ষত হলে পুরোহিত সেই ক্ষত পরীক্ষা করবে। 30যদি
তা গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর হয় এবং তার উপরে মামড়ি ও হলুদ রঙের লোম থাকে
তাহলে পুরোহিত তাকে অশুচি বলে ঘোষণা করবে। কারণ তা মাথা ও চিবুকের
চর্মরোগ। 31পুরোহিত
সেই ক্ষত পরীক্ষা করে যদি দেখে তা গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর নয় এবং তার উপরে
কালো রঙের লোম না থাকে তাহলে পুরোহিত তাকে সাতদিন পৃথক করে রাখবে। 32পরে
সপ্তম দিনে পুরোহিত আবার সেই ক্ষত পরীক্ষা করবে। যদি সেই ক্ষত না বাড়ে ও
তাতে হলুদ লোম না গজায় এবং সেই ক্ষত গাত্রচর্মের চেয়ে গভীর না হয়, 33তবে
তাকে চুল ও দাড়ি কামিয়ে ফেলতে হবে, কিন্তু ক্ষতস্থান কামানো চলবে না।
তারপর পুরোহিত সেই ক্ষতদুষ্ট ব্যক্তিকে আরও সাতদিন পৃথক করে রাখবে। 34সপ্তম
দিনে পুরোহিত সেই ক্ষত আবার পরীক্ষা করবে। যদি সেই ক্ষত আর না বাড়ে ও
গাত্রচর্মের থেকে গভীর না হয় তাহলে পুরোহিত তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে এবং
সেই ব্যক্তি তার পরণের কাপড়চোপড় ধুয়ে ফেলে শুচি হবে। 35কিন্তু শুচি হওয়ার পর যদি তার দেহে সেই ক্ষত ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে পুরোহিত তাকে পরীক্ষা করবে। 36যদি তার ক্ষত বেড়ে গিয়ে থাকে, তাহলে পুরোহিতকে আর হলুদ লোম খুঁজে দেখতে হবে না। সেই ব্যক্তি অশুচি হয়েছে। 37কিন্তু
পুরোহিত যদি দেখে ক্ষত আর বাড়েনি বরং তার উপরে কালো লোম গজিয়েছে তাহলে
বুঝতে হবে ক্ষত আরোগ্য হয়েছে এবং সে শুচি হয়েছে। পুরোহিত তাকে শুচি বলে
ঘোষণা করবে।
38যদি কোন পুরুষ বা নারীর দেহের বিভিন্ন স্থানে দাগ হয়, অর্থাৎ, সাদা দাগ দেখা দেয় তাহলে পুরোহিত তা পরীক্ষা করে দেখবে। 39যদি চামড়ার উপরকার দাগ বিবর্ণ সাদা হয় তবে তা চামড়ার উপরে নির্দোষ ছুলির দাগ। সে শুচি।
40যদি কোন ব্যক্তির মাথায় চুল উঠে যায়, তবে তাকে অশুচি বলা যাবে না। 41যদি কোন ব্যক্তির মাথার সামনের বা পিছনের দিকের চুল উঠে যায়, সেটি তার মস্তকের কেশহীনতা মাত্র। সে শুচি। 42কিন্তু যদি মাথা বা কপালে গোলাপী কিম্বা সাদা দাগ হয় তবে বুঝতে হবে সেটি মাথার বা কপালের কুষ্ঠ। 43পুরোহিত
তাকে পরীক্ষা করবে। যদি গাত্রচর্মের কুষ্ঠের মত টাক পড়া মাথার কিম্বা
কপালে গোলাপী বা সাদা ক্ষত হয়, তবে সে কুষ্ঠরোগগ্রস্ত, অশুচি। 44পুরোহিত তাকে অবশ্যই অশুচি বলে ঘোষণা করবে, কারণ তার মাথায় কুষ্ঠ হয়েছে।
45কুষ্ঠব্যাধিগ্রস্ত
ব্যক্তির পরণে ছিন্নবসন থাকবে এবং তার মাথার চুল অবিন্যস্ত থাকবে। সে তার
ওষ্ঠ আবৃত করে রাখবে এবং ‘ অশুচি, অশুচি’ বলে চীৎকার করবে। 46যতদিন তার দেহে ক্ষত থাকবে ততদিন সে অশৌচ অবস্থায় থাকবে, কারণ সে অশুচি। সে একা থাকবে এবং লোকালয়ের বাইরে তাকে বাস করতে হবে।
47কোন পশম বা রেশমী বস্ত্রে যদি সাদা ছোপ বা দাগ পড়ে, 48পশম কিম্বা রেশম নির্মিত বস্ত্রের টানা কিম্বা পোড়েনে, অথবা চামড়ায় বা চামড়ার তৈরী কোন দ্রব্যে এই রকম দাগ হয়, 49কাপড়ের টানা কিম্বা পোড়েনে, কিম্বা চামড়ার তৈরী কোন জিনিষে যদি ফিকে সবুজ বা লাল কোন দাগ হয় তবে সেটি হবে ছত্রাকের13:49 ছত্রাক: হিব্রু ভাষায় ‘কুষ্ঠরোগ’ শব্দটির জন্যও একই শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আক্রমণ। পুরোহিতকে তা দেখাতে হবে। 50পুরোহিত সেই দাগ পরীক্ষা করে দেখবে এবং সেই বস্তুটি সাতদিন আটক করে রাখবে। 51সপ্তম
দিনে পুরোহিত আবার সেই বস্তুটি পরীক্ষা করবে। যদি বস্তুটির টানা কিম্বা
পোড়েনে, কিম্বা চামড়া ও চামড়ার তৈরী কোন জিনিসের দাগ বেড়ে যায় তাহলে
বুঝতে হবে তা মারাত্মক ধরণের ছত্রাক। সেই বস্তু অশুচি। 52অতএব
পশম কিম্বা রেশমী সুতোয় তৈরী কোন বস্ত্রের টানা কিম্বা পোড়েনে, অথবা
চামড়ার তৈরী কোন দ্রব্যে যদি এই রকম কোন দাগ হয় তবে পুরোহিত তা পুড়িয়ে
ফেলবে। কারণ তা মারাত্মক ছত্রাক রোগে আক্রান্ত। সেটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে
হবে। 53কিন্তু পুরোহিত যদি পরীক্ষা করে দেখে বস্ত্রের টানা কিম্বা পোড়েনে বা চামড়ার তৈরী কোন দ্রব্যের সেই দাগ আর ছড়িয়ে পড়ে নি, 54তাহলে পুরোহিত সেই জিনিষটা ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেবে এবং আরও সাতদিন তা আলাদা করে রাখবে। 55বস্তুটি
ধোয়ার পর পুরোহিত আবার সেই দাগ পরীক্ষা করে দেখবে, যদি সেই দাগের বং
বদলে না যায়, তাহলে দাগ বেড়ে না গেলেও বুঝতে হবে তা অশুচি। সেই দাগ
বস্তুটির সোজা বা উল্টো-যেদিকেই হোক না কেন, তোমরা সেটি পুড়িয়ে ফেলবে। 56কিন্তু
ধোয়ার পর পুরোহিত যদি দেখে সেই দাগ বিবর্ণ হয়েছে, তাহলে সে ঐ বস্ত্রের
টানা বা পোড়েন থেকে কিম্বা চামড়া থেকে ঐ অংশটুকু ছিঁড়ে ফেলবে। 57তার
পরেও যদি সেই বস্ত্রের টানা কিম্বা পোড়েনে বা চামড়ার তৈরী কোন জিনিসে ঐ
দাগ আবার দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে তা সংক্রামক ছত্রাক। এই রকম দাগ যা
কিছুতে থাকবে, সেসব পুড়িয়ে ফেলবে। 58আর
যে বস্ত্র কিম্বা যে বস্ত্রের টানা কিম্বা পোড়েনে অথবা চামড়ার কোন
দ্রব্য ধোয়ার পর যদি সেই দাগ উঠে যায় তাহলে দ্বিতীয়বার সেই বস্তুটি ধুয়ে
ফেলবে, তখন সেটি শুচি হবে। 59পশম
কিম্বা রেশমী সুতোয় তৈরী বস্ত্রের টানা ও পোড়েনে অথবা চামড়ার তৈরী কোন
পাত্রের ছত্রাক এবং শৌচাশৌচ নির্ধারণের জন্য এই বিধি দেওয়া হল।
No comments:
Post a Comment