যাত্রা পুস্তক ৩১: ১৮, ৩২: ১৫-১৬ এবং দ্বিতীয় বিবরণ ৫: ৬-২২)।

যাত্রা পুস্তক ৩১: ১৮

18তুর পাহাড়ের উপর মূসার কাছে এই সব কথা বলা শেষ করে মাবুদ তাঁকে দু’খানা সাক্ষ্য-ফলক দিলেন। এই দু’টা পাথরের ফলকের উপর আল্লাহ্‌ নিজেই তাঁর হুকুম লিখেছিলেন।



যাত্রা পুস্তক  ৩২: ১৫-১৬


15এর পর মূসা সাক্ষ্য-ফলক দু’টি হাতে করে পাহাড় থেকে নীচে নেমে গেলেন। ফলক দু’টার সামনে এবং পিছনে দু’দিকেই লেখা ছিল। 16সেই দু’টা ছিল আল্লাহ্‌র নিজের হাতের কাজ, আর তার উপর খোদাই করা লেখাটিও ছিল তাঁর।





দ্বিতীয় বিবরণ ৫: ৬-২২)



6‘আমি আল্লাহ্‌ তোমাদের মাবুদ। মিসর দেশের গোলামী থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি।
7‘আমার জায়গায় কোন দেব-দেবী দাঁড় করাবে না।
8‘পূজার উদ্দেশ্যে তোমরা কোন মূর্তি তৈরী করবে না, তা আসমানের কোন কিছুর মত হোক বা মাটির উপরকার কোন কিছুর মত হোক কিংবা পানির মধ্যেকার কোন কিছুর মত হোক। 9তোমরা তাদের পূজাও করবে না, তাদের সেবাও করবে না, কারণ কেবলমাত্র আমি আল্লাহ্‌ই তোমাদের মাবুদ। আমার পাওনা এবাদত আমি চাই। যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের গুনাহের শাস্তি আমি তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকি। 10কিন্তু যারা আমাকে মহব্বত করে এবং আমার হুকুম পালন করে হাজার হাজার পুরুষ পর্যন্ত তাদের প্রতি আমার অটল মহব্বত থাকবে।
11‘কোন বাজে উদ্দেশ্যে তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র নাম নেবে না। যে তা করবে তাকে মাবুদ শাস্তি দেবেন।
12‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তোমাকে যেমন হুকুম দিয়েছেন তেমনি করে তোমরা বিশ্রামবার পবিত্র করে রাখবে এবং তা পালন করবে। 13সপ্তার ছয় দিন তোমরা পরিশ্রম করবে এবং তোমাদের সমস্ত কাজ করবে, 14কিন্তু সপ্তম দিনটি হল তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র উদ্দেশে বিশ্রামের দিন। সেই দিন তোমরা, তোমাদের ছেলেমেয়ে, তোমাদের গোলাম ও বাঁদী, তোমাদের গরু ও গাধা কিংবা অন্য কোন পশু কিংবা তোমাদের গ্রাম ও শহরে বাস করা অন্য জাতির লোক- কারও কোন কাজ করা চলবে না। এতে তোমাদের গোলাম ও বাঁদীও তোমাদের মত বিশ্রাম পাবে। 15মনে রেখো, তোমরাও মিসর দেশে গোলামই ছিলে এবং তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌ তাঁর কঠোর এবং শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে সেখান থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন। সেইজন্যই তিনি বিশ্রামবার পালন করবার হুকুম তোমাদের দিয়েছেন।
16‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র হুকুম মেনে তোমরা তোমাদের পিতা-মাতাকে সম্মান করে চলবে। তাতে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র দেওয়া দেশে তোমরা অনেক দিন বেঁচে থাকবে এবং তোমাদের উন্নতি হবে।
17‘খুন কোরো না।
18‘জেনা কোরো না।
19‘চুরি কোরো না।
20‘কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না।
21‘অন্যের স্ত্রীর উপর লোভ কোরো না। অন্যের ঘর-দুয়ার, জমা-জমি, গোলাম ও বাঁদী, গরু-গাধা কিংবা আর কিছুর উপর লোভ কোরো না।’
22“সেই পাহাড়ের উপর আগুন, মেঘ ও গাঢ় অন্ধকারের মধ্য থেকে মাবুদ এই হুকুমগুলোই তোমাদের সকলের কাছে জোরে ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া তিনি তোমাদের কাছে আর কিছু বলেন নি। পরে তিনি সেগুলো দু’টি পাথরের ফলকের উপর লিখে আমার কাছে দিয়েছিলেন।

2 comments:

  1. ধন্যবাদ কথাগুলো দেয়ার জন্য।
    কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে প্রাণ বন্ধ কর বা কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখানে উল্লেখ করা হয়।

    ReplyDelete
  2. খুব ভালো লাগলো পড়ে।

    ReplyDelete

Featured Post

প্রশ্নোত্তর পর্বসমূহ

আস সালামু আলাইকুম । আপনারা তাফহীমুল কুরআন এ্যাপের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো করেছেন এখানে সেগুলোর উত্তর তালিকা আকারে দেওয়া হয়েছে।  বিগত দিনের ...